বিশেষ প্রতিবেদক::
বিশ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের কয়েকদিন পরেই মাদক-পতিতার আড্ডাখানা ছালেহ নূর গেষ্ট হাউস থেকে ফের ৭ পতিতা ও খদ্দের আটক হয়েছে। সোমবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা প্রধান সড়কের উক্ত ঝুপড়ি হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে এদের আটক করে পুলিশ। তবে অভিযান টের পেয়ে হোটেল মালিক ছালেহ নূর কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
স্হানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও পতিতা ব্যবসায় জড়িত রয়েছে উক্ত হোটেল মালিক ছালেহ নূর। তিন/চার রুমের উক্ত টিনশেড ঝুপড়িতে “ছালেহ নূর গেষ্ট হাউস” সাইন বোর্ডের আড়ালে মাদক ও পতিতা চালিয়ে আসছে এ ছালেহ নূর। সূত্রে প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরে কলাতলী হোটেল-মোটেল জোন ও শহরের বিভিন্ন হোটেলে ইয়াবা ও পতিতা সরবরাহ করা হচ্ছে উক্ত ছালেহ নূর গেষ্ট হাউস থেকে। সম্প্রতি শুরু হওয়া পর্যটন মৌসূমকে সামনে রেখে সেখানে ইয়াবা ও পতিতার বিশাল মজুূদ গড়ে তুলে সে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) র্যাব অভিযান চালিয়ে ছালেহ নূর গেষ্ট হাউস থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করে। ছালেহ নূরের ভাই ইয়াবা সম্রাট শাহেদ এসময় কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পলাতক শাহেদসহ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের ডিএডি আবুল কালাম।
এর আগেও গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই গেস্ট হাউস থেকে ৮ পতিতাসহ আটক হয়েছিল উক্ত ইয়াবা শাহেদ। ইয়াবা ও পতিতা ব্যবসার আড্ডাখানা ছালেহ নূর গেষ্ট হাউসের কারনে বিষিয়ে উঠেছে পর্যটন নগরীর পরিবেশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে পিছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় হোটেল মালিক ছালেহ নূর। পরে পুলিশ চলে গেলে ফিরে এসে তাড়াতাড়ি হোটেল বন্ধ করে চলে যায়। মাদক ও পতিতা ব্যবসার নায়ক ছালেহ নূর সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নের খামার পাড়ার বাসিন্দা এবং ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন ছৈয়দ নূরের ছেলে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া জানান, আটক পতিতা ও খদ্দেরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত